Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অর্জনসমূহ
সাম্প্রতিক বছরসমুহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমুহঃ
 
আমরা স্বপ্ন দেখি  উন্নয়নের একরাশ সম্ভাবনা। যেখানে সুনিশ্চিত থাকবে বাংলার প্রতিটি মানুষের জন্য সুদৃঢ় খাদ্য নিরাপত্তার বেষ্টনী। দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হবে  কৃষি। জিডিপি তে কৃষির ভ‚মিকা থাকবে অতুলনীয়। আজ সেই স্বপ্ন সত্যিই বাস্তব হতে চলেছে। বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশ কৃষি খাতে অভাবনীয় বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কৃষির বিভিন্ন উপখাতের ক্রম অগ্রগতি বিশ্বের বিভিন্ন সূচকেও প্রভাব বিস্তার করেছে। পাল্টে দিয়েছে কৃষি উৎপাদনের পুরানো হিসাব-নিকাশ। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে সীমিত ভ‚খন্ডে অসীম সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ। এই দেশের পরিশ্রমী কৃষক ও মাঠ পর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতায় উৎপাদন বিপ্লবে বাংলাদেশের এই অসামান্য অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দুই হলো সরেজমিন উইং। গবেষণা প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবিত আধুনিক প্রযুক্তি মূলতঃ সরেজমিন উইং কৃষকের নিকট সম্প্রসারণ করছে। মাঠ পর্যায়ে বার্ষিক কৃষি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এ উইং এর মূল কাজ। ক্রমহ্রাসমান চাষযোগ্য জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠির খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সরেজমিন উইং এর অধিন চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার কৃষকের নিকট চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বিগত তিন বছরে সবজি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে সবজি ফসলের উৎপাদন ২০১৮-১৯ সনের তুলনায় ২০১৯-২০ সনে প্রায় ২০০০০ মেঃটন বৃদ্ধি পেয়েছে।  ২০১৮-১৯ এর তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে নন-ইউরিয়া সারের ব্যবহার ৩৫০০  মেঃটন বৃদ্ধি পেয়েছে। দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ফসলের আধুনিক ও ঘাত সহিঞ্চু জাত, পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার, পার্চিং, আধুনিক চাষাবাদ, গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধি, মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ,নিরাপদ ফসল উৎপাদন, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈব ও সবুজ সার তৈরী ও ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এছাড়া অত্র উপজেলা এলাকায় কৃষকদের পুকুর পাড় ,পরিত্যক্ত ভিটা , রাস্তার ধার এবং বাড়ির বসতভিটা ,ছাদে ফল ও সবজির বাগান সৃজনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি সৌখিন লোকদের সময় কাটানোর সুন্দর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মোট জনগোষ্ঠির প্রায় অর্ধেক নারীকে কৃষিতে সম্পৃক্তায়নের লক্ষ্যে নারীসহ বিগত তিন বছরে প্রায় ৩৪৫০ জন কৃষক- কৃষাণীকে লাগসই আধুনিক প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।